ভারতের মুংগের সেরা ৫ টি খাবারের তালিকা এবং গুণাগুণ!
মুংগের, বিহার রাজ্যের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা, যেখানে স্থানীয় খাদ্য সংস্কৃতি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। যদিও মুংগেরের নির্দিষ্ট কিছু খাবারের তথ্য সীমিত, তবে বিহার রাজ্যের জনপ্রিয় কিছু খাবার এখানে সমাদৃত। নিচে পাঁচটি উল্লেখযোগ্য খাবারের তালিকা ও তাদের গুণাগুণ উপস্থাপন করা হলো:
১. লিট্টি-চোখা (Litti-Chokha)
- 
বর্ণনা: লিট্টি হলো গমের আটা ও সাট্টু (ভাজা ছোলার গুঁড়ো) দিয়ে তৈরি গোল বল, যা কয়লার আগুনে সেদ্ধ করা হয় এবং দেশি ঘি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। চোখা হলো বেগুন, টমেটো, পেঁয়াজ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ভর্তা, যা লিট্টির সাথে পরিবেশন করা হয়। 
- 
গুণাগুণ: - 
সাট্টু প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে সহায়তা করে। 
- 
চোখায় থাকা সবজি ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর, যা পুষ্টিগুণ বাড়ায়। 
 
- 
২. চানা ঘুগনি (Chana Ghugni)
- 
বর্ণনা: কালে চানা (ছোলা) দিয়ে তৈরি মশলাদার তরকারি, যা পরোটা, রুটি বা ভাতের সাথে খাওয়া হয়। এটি মশলাদার এবং মজাদার নাস্তা হিসেবে সন্ধ্যায় খাওয়া হয়। 
- 
গুণাগুণ: - 
প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ, যা পেশি গঠনে সহায়তা করে ও হজমে সাহায্য করে। 
- 
মশলার উপস্থিতি স্বাদ বাড়ায় ও হজমে সহায়তা করে। 
 
- 
৩. ধুসকা (Dhuska)
- 
বর্ণনা: চাল ও ছোলার ডাল দিয়ে তৈরি একটি ভাজা খাবার, যা সাধারণত আলুর তরকারি বা মটরশুঁটির ঘুগনির সাথে পরিবেশন করা হয়। এটি বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড। 
- 
গুণাগুণ: - 
কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা শক্তি প্রদান করে। 
- 
ভাজা হলেও হালকা ও সহজপাচ্য। 
 
- 
৪. খাজার (Khaja)
- 
বর্ণনা: ময়দা, চিনি ও ঘি দিয়ে তৈরি একটি মিষ্টান্ন, যা খাস্তা ও মচমচে হয়। এটি বিহারের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। 
- 
গুণাগুণ: - 
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, যা দ্রুত শক্তি প্রদান করে। 
- 
ঘি-এর উপস্থিতি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সরবরাহ করে। 
 
- 
৫. তিলকুট (Tilkut)
- 
বর্ণনা: তিল ও গুড় দিয়ে তৈরি একটি মিষ্টি, যা বিশেষ করে মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে তৈরি করা হয়। 
- 
গুণাগুণ: - 
তিলে ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। 
- 
গুড়ে আয়রন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকে, যা রক্তস্বল্পতা রোধে সহায়ক। 
 
- 
এই খাবারগুলো মুংগেরসহ বিহার রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জনপ্রিয় এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন করে। তবে, মুংগের জেলার নির্দিষ্ট কিছু বিশেষ খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য স্থানীয় সূত্র বা বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করা যেতে পারে।